Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিশেষ ব‌্যক্তিত্ব

আনিসুল হক, এম.পি 

মাননীয় মন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার


মাননীয় আইন মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক তৎকালীন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা) কসবার  পানিয়ারূপ গ্রামে ৩০ মার্চ ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।  উনার সম্মানিত পিতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক, একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং উনার সম্মানিত মাতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মিসেস জাহানারা হক। অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ছিলেন আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আস্থাভাজন ছিলেন। অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ছিলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বিশিষ্ট সংগঠক এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে সহায়তা চাইতে প্রথম ব্যক্তিদের একজন যিনি ভারতে পাড়ি জমান। প্রয়াত জনাব সিরাজুল হক ছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন কিংবদন্তি আইনজীবী এবং ১৯৭৩ সালে যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য প্রধান প্রসিকিউটর নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে ১৯৯৬ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জেল হত্যা মামলায় প্রধান কৌঁসুলি নিযুক্ত হন যেখানে ১৯৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেশের চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মিসেস জাহানারা হক একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন সাবেক শিক্ষাবিদ।


মাননীয় আইন মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক ঢাকার স্বনামধন্য সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ও-লেভেল সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড লেভেল (এ-লেভেল) সম্পন্ন করেন। এ-লেভেল শেষ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেন। এরপর আনিসুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন এবং মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেন। 


মাননীয় আইন মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা জেলা বারে এবং ১৯৮৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন। ২০০১ সালে, তিনি একজন আইনজীবী হিসাবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নথিভুক্ত হন। এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হন। 


বাবার মৃত্যুতে আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার প্রধান বিশেষ কৌঁসুলি হন। তাঁর আইনজীবীর অধীনেই শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয় এবং এদেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় প্রদান করেন। আনিসুল হক বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কৌঁসুলি ও বিশেষ প্রসিকিউটরও ছিলেন। আনিসুল হক পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার প্রধান প্রসিকিউটরও ছিলেন যা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের বিদ্রোহের সাথে সম্পর্কিত। এই মামলাটিও তার নেতৃত্বে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক এবং তাঁর ছেলে আনিসুল হক, উভয়ই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, ১৯৮০-২০১৪ সময়কালে দেশের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ, নেতৃস্থানীয় এবং সংবেদনশীল ফৌজদারি মামলাগুলির জন্য পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। 


২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আনিসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যেখানে আনিসুল হকের পৈতৃক বাড়িও রয়েছে। তিনি ৯ জানুয়ারী ২০১৪-এ সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। তারপরে, ১২ জানুয়ারী ২০১৪-এ তিনি মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পোর্টফোলিও বরাদ্দ করেন। 


৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আনিসুল হক আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৩ জানুয়ারী ২০১৯-এ সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তিনি আবারও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং ৭ জানুয়ারী ২০১৯-এ মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি পরপর দুই মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন। 


মাননীয় আইন মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক ১৯৮৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর নুর আমতুল্লাহ রিনা হকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। নুর আমতুল্লাহ রিনা হক ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।